জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল নায়ক তারেক রহমান এবং এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা বিএনপির বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, তারেক রহমানের পরে যার সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ, তিনি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাদের কারণেই শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পেশাজীবী মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তবে আন্দোলনের কৃতিত্ব বিএনপি কখনও এককভাবে দাবি করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে, আমাদের (বিএনপি) এত মানুষের যে আত্মত্যাগ, সেটা এখন আবার অনেকে ভুলে যেতে বসেছে। এখন জুলাই-আগস্ট নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, তাতে ১৬ বছর ধরে যে মানুষগুলো একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেটা কিন্তু আলোচনায় আসছে না। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। চাকরিচ্যুত হয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে পারেনি, বেশির ভাগ সময় কোর্ট-কাচারিতে কাটিয়েছে। বলতে কষ্ট হচ্ছে– এমন অনেকে আছে, স্ত্রী-স্বামীকে ত্যাগ করে চলে গেছে; বছরের পর বছর স্বামী ঘরে না থাকার কারণে এমন ঘটেছে। সেগুলো কিন্তু আলোচনায় আসছে না। এটা দুঃখজনক।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী ও মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইফতেখার ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আলোচনা সভা শুরুর আগে আওয়ামী দুঃশাসন ও জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।