জুলাই সনদ স্বাক্ষর এ জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে শহীদের আত্মত্যাগ, জাতির আকাঙ্ক্ষা, জন প্রত্যাশা পূরণের শুরু হলো কেবল। এগুলো পূরণের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি রাষ্ট্র কাঠামো অর্জন করতে পারবো।
এদিকে, জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা হলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অপরদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন তৈরিতে বিলম্ব হলে দেশের রাজনীতিতে সংকট দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব বলেন রাজনৈতিকরা। প্রতিক্রিয়া দেন, স্বাক্ষর করা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। এর আগে বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এর কিছু আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
পরে বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমরা যে ঐক্যের সুর বাজালাম, সেই সুর নিয়েই নির্বাচনে যাব। যারা স্বাক্ষর করলেন, তারা প্রয়োজনে আবার বসেন। ঠিক করেন কীভাবে নির্বাচন সুন্দর করা যায়। যেনতেন নির্বাচন করে কোনও লাভ নেই।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মানুষ যেন মনে রাখে এই সনদে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে। পুলিশ এসে কেন ধাক্কাধাক্কি করবে। নিজেদের নির্বাচন নিজেরা করবো। কারও এসে আমাদের সোজা করতে হবে না, দেখিয়ে দিতে হবে না, ধাক্কাধাক্কি করতে হবে না। বক্তব্যের আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ সনদে স্বাক্ষর করেন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা।