সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১৪ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নাগরিকসহ ৩১ জনকে পুশই ন করেছে। তাদের সবাইকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)-এর অধীনস্থ লালাখাল বিওপির একটি টহলদল ২৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে বাগছড়া নামক স্থান থেকে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ জোরপূর্বক ১৪ জন মিয়ানমারের নাগরিককে পুশ ইন করলে বিজিবি তাদের আটক করে।
১৯ বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লালাখাল বিওপি ও ভারতের ৪ ব্যাটালিয়ন জালিয়াখোলা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন সীমান্তের মেইন পিলার ১৩০১ থেকে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ ইনকৃত অবস্থায় ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে বিজিবির টহলে টিম তাদের আটক করে। এদের মধ্যে পুরুষ চারজন নারী চারজন ছেলে শিশু তিনজন ও কন্যাশিশু তিনজন।
অপর দিকে ২৭ জুন শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় মিনিটে উপজেলার সীমান্তবর্তী মিনাটিলা কেন্দ্রী গ্রাম দিয়ে আরো ১৭ জনকে পুশ ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, শুক্রবার ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন মিনাটিলা বিওপির টহলদল কর্তৃক মেইন পিলার ১২৮২/৮ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কর্তৃক পুশ ইনকৃত ১৭ জন নাগরিককে আটক করে বিজিবি। আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও সাত শিশু রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, আটক হওয়া ১৭ জনকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুবায়ের আনোয়ার জানান, আটককৃত ১৪ জন রোহিঙ্গাকে নাম-পরিচয় বিস্তারিত তথ্যাদি সংগ্রহপূর্বক নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৫/৬ বছর পূর্বে টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প হতে পালিয়ে ভারতে গিয়েছিল তারা। তাদের পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।