যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪ জন। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে আরো ২০ জনের মতো শিশু। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (০৪ জুলাই) টেক্সাসের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের গুয়াদালুপে নদীর তীরে প্রবল বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ এই বন্যা দেখা দেয়। গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে যোগ দিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় তারা। নৌকা ও হেলিকপ্টার নিয়ে তাদের খোঁজে নামে জরুরি বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা কের কাউন্টির কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। টেক্সাস হিল কান্ট্রিতে অবস্থিত এই এলাকা সান আন্তোনিও শহর থেকে প্রায় ৬৫ মাইল (১০৫ কিলোমিটার) উত্তর-পশ্চিমে। প্রবল বজ্রঝড়ের সঙ্গে টানা ভারী বৃষ্টিতে সেখানে এক ফুট পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। বন্যায় তলিয়ে গেছে বহু বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা।
কের কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লাইথা সাংবাদিকদের জানান, বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, সবকিছু শেষ হলে সংখ্যাটা আরো বাড়বে। কেননা এখনো ২০ শিশু নিখোঁজ আছে।
টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সোশালে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে গাছে উঠে পানি থেকে নিজেকে বাঁচানো এক ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হচ্ছে।
টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ৪৫ মিনিটের মধ্যে গুয়াদালুপ নদীর পানি ২৬ ফুট (৮ মিটার) ওপরে উঠে যায়। প্যাট্রিক বলেন, নদীর ধারে ক্যাম্প মিস্টিক থেকে প্রায় ২৩টি মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর অর্থ এই নয় যে তারা হারিয়ে গেছে। তারা গাছে থাকতে পারে, তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে।
গ্রীষ্মকারলীন ক্যাম্পটির পরিচালক বলেন, বিপর্যয়কর বন্যার কারণে সাইটটিতে তীব্রতা অব্যাহত আছে। যদিও ৭৫০ জন ক্যাম্পারের বেশির ভাগই নিরাপদে আছেন তবে বন্যার পানি রাস্তাগুলোকে চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে। যার ফলে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
টেক্সাস পার্ক এবং বন্যপ্রাণী বিভাগের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, টেক্সাস গেম ওয়ার্ডেনরা পরে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যে তারা ‘গাড়ি নিয়ে ক্যাম্প মিস্টিকে প্রবেশ করেছেন এবং ক্যাম্পারদের বের করে আনতে শুরু করেছেন।’
শুক্রবার রাত পর্যন্ত জরুরিকর্মীরা হেলিকপ্টারে করে ১৬৭ জনসহ মোট ২৩৭ জনকে উদ্ধার বা সরিয়ে নিয়ে গেছেন।
সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একাধিক সংবাদ ও সম্প্রচারমাধ্যম