Site icon সারাবেলার খবর

ঢাকামুখী দক্ষিণের মানুষ, লঞ্চঘাটে যাত্রীর ঢল

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হয় গত ৫ জুন। টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। তবে শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়াতে এর আগেই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণের মানুষ। বিশেষ করে দুই দিন ধরে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সোমবার (৯ জুন) ভিড় কিছুটা কম থাকলেও মঙ্গলবার বেশি দেখা গেছে। আগামী চার দিন পর্যায়ক্রমে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, মঙ্গলবার বরিশাল থেকে চারটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চ বাড়ানো হবে। এখন পর্যন্ত খুব বেশি চাপ লক্ষ্যনীয় নয়। তবে আশা করছি ছুটি শেষ হয়ে আসতে আসতে যাত্রীর চাপ আরও বাড়তে থাকবে। এমভি পারাবত ১৮ লঞ্চের যাত্রী হেনোয়ারা বেগম বলেন, আরও কিছুদিন বাড়িতে থাকতে পারতাম। ছুটির শেষ সময়ে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় থাকায় যেতে কষ্ট হয়। তাই আগেভাগে চলে যাচ্ছি। এমভি সুন্দরবন ১১ লঞ্চের যাত্রী জসিম উদ্দিন বলেন, আগে থেকেই ১০ তারিখের টিকিট নিয়েছিলাম। ভিড় বাড়ার আগেই কর্মস্থলে ফিরছি। স্বাভাবিক ভিড়ে লঞ্চ জার্নি ভালো লাগছে।

এমভি ফারহান লঞ্চের যাত্রী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, লঞ্চে যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে। হয়তো ছুটি শেষের দুই দিন (শুক্রবার ও শনিবার) প্রচণ্ড ভিড় হতে পারে। তবে আগের মতো আর হাজার হাজার যাত্রী হওয়ার সুযোগ নাই। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঈদযাত্রা আরামদায়ক করে দিয়েছে। সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আকতার হোসেন আকেজ বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে কিছু যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করছে। তা ছাড়া সাড়া বছরই যাত্রী সংকটে চলতে হচ্ছে। লঞ্চ ব্যবসা যাত্রী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, নদী বন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রী চাপ দেখা যাচ্ছে না। যাত্রীর চাপ বাড়লে ফোর্স বাড়ানো হবে। উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষ্যে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস ৩ জুন শুরু হয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে।

Exit mobile version