৯ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

থাইল্যান্ডে হঠাৎ রাস্তার মাঝে তৈরি হলো ১৬০ ফুট গভীর গর্ত

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ পিএম

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সামসেন রোডের একটি অংশ দেবে গেছে। এতে করে ভাজিরা হাসপাতালের সামনে ১৬০ ফুট গভীর একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে হঠাৎ করে রাস্তায় ধস নামে। গর্তটি প্রায় ১০০ ফুট প্রশস্ত। ভাজিরা হাসপাতালের সামনের রেলস্টেশনের সামনে গর্তটি তৈরি হয়। নিরাপত্তার জন্য ভাজিরা এবং সাংঘির মধ্যে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় দুসিত বিভাগ অফিস।

থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গর্তের কারণে টানেল ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কার করতে অন্তত এক বছর সময় লাগতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী অনুতিনের নেতৃত্বে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে।

কেন রাস্তার মধ্যে এত বড় গর্ত সৃষ্টি হলো সেটির কারণ খুঁজে বের করতে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষের অধীনে তদন্ত করা হবে। গর্তের কারণে পাঁচতলা বিশিষ্ট সামসেন থানা ঝুঁকিতে পড়েছে। এখন এটির নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণে পরিণত হয়েছে। গর্তের কারণে থানার ভূগর্ভস্থ কয়েকটি ফাউন্ডেশন পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গর্তের আশপাশের মাটি এখনো নড়ছিল। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঝুঁকির কথা চিন্তা করে ভাজিরা সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৫০০ রোগীকে আশপাশের ভবনগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও হাসপাতালটির কাঠামো এ গর্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

হাসপাতালের রোগীদের পাশাপাশি আশপাশের ভবনের বাসিন্দাদেরও সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এমইএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,গর্তের মধ্যে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং পুলিশের একটি গাড়ি পড়ে গেছে। ম্যাস রেপিড ট্রান্সপোর্টের নতুন লাইন তৈরি হওয়ায় সেখানে এরআগে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল।

ব্যাংককের গভর্নর চাডচার্ট সিত্তিপুন্ত জানিয়েছেন, গর্তটি তৈরি হয়েছে ভাজিরা হাসপাতাল রেলস্টেশনের ওপর। বিশেষ করে স্টেশন ও সেখানকার জংশনের মধ্যে। যেখানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে সেখানকার মাটি প্রথমে পাশের টানেলে পড়ে। এতে করে আশপাশের অবকাঠামো ধসে পড়ে। এরসঙ্গে পানির বড় একটি পাইপও ভেঙে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া টানেলের মধ্যে যেসব গর্ত তৈরি হয়েছে সেগুলো সারাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন অন্য আর কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এরসঙ্গে মাটির অবস্থা পর্যবেক্ষন এবং যান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে গর্ত আরও বড় হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টি নামলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় এখন ওই বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x