এক দেশে দুই সংবিধান থাকতে পারে কী—এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এখন যে সংবিধান বহাল আছে, এর ভিত্তিতেই তো এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, শপথ নিয়েছে। এই সংবিধানেই ভিত্তিতেই দেশে বিচারবিভাগ, প্রশাসনসহ সব কিছু পরিচালিত হচ্ছে। যদি এই বিধানগুলো আজকেই পরিবর্তন হয়ে গেছে ধরা হয়, তাহলে তো সেটি পরিবর্তিত সংবিধানের অনুসারে রাষ্ট্র চলবে।
তাহলে কেউ যদি উপযুক্ত আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন যে, বাংলাদেশের সংবিধান কী এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে? আদালত কী বলবেন, কে করলো এই সংবিধান পরিবর্তন? কার অধিকার আছে এই সংবিধান পরিবর্তন করার- সেই প্রশ্ন আসবে। রোববার রাজধানী কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হলে জাতীয়তাবাদী আয়কর আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সাংবিধানিক সংস্কারের কথা উঠছে। এই মুহূর্তেও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু সংবিধানের সংস্কার কিংবা সংশোধনী যদি আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা সম্মত হই, সেটা বাস্তবায়নের উপযুক্ত ফোরাম জাতীয় সংসদ। সংবিধান সংশোধনের বাইরে যেসমস্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সবাই একমত হয়েছি, সেটি এখনই বাস্তবায়ন করা যায়।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অতি শিগগিরই তারেক রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। সেদিন দেশে নির্বাচনের সমস্ত কিছু প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে হবে দেশে ঐতিহাসিক একটি ঘটনা।
এর আগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতনী হিন্দু নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি, বিভিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য কিছু চক্রান্ত গড়ে উঠছে। এমনকি স্বধর্মের মধ্যেও এমন কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। কোন রকমের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যারা চেষ্টা করবে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে সরকার অবশ্যই উদ্যোগ নেবে।