নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কার্যক্রম শুরু করতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন জরুরি। সকল পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে, দ্রুতই এ বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে। আজ শুক্রবার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নৌ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সাইডে যেটুকু নদী আছে, এটা আমরা ড্রেজিং করতে পারব। ভারতের অংশে আমাদের পক্ষে ড্রেজিং করা সম্ভব না। আমাদের পাশে ভারত, তারা যদি না করে আমরা তাদের রিকোয়েস্ট করতে পারব। পদ্মায় কখনো পানি বেশি থাকে, কখনো কম থাকে। যৌথ আলোচনা নিশ্চয়ই হবে। তারাও তো আগ্রহী যে তাদের পণ্য বিক্রি হবে। ওই পারের ব্যবসায়ীরাও নিশ্চয় তাদের সরকারকে বলবেন নাব্যতার ব্যাপারে।
এর আগে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নৌবন্দরের অবকাঠামো গত উন্নয়ন করতে উচ্চপর্যায়ে আলাপ করতে হবে। এটা আমি পজিটিভলি দেখব। নৌবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এনবিআরের অনুমোদনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। কাজেই সকল পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
পদ্মা নদী দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য সুলতানগঞ্জ নদীবন্দরটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। সেদিন ভারতের মায়া নদীবন্দরের সঙ্গে সুলতানগঞ্জের নতুন যোগাযোগ স্থাপিত হয়। পরীক্ষামূলক কিছু পণ্য আনা-নেওয়ার পর এর কার্যক্রম থেমে যায়। নদীর নাব্যতা কম থাকা একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। পাশাপাশি অবকাঠামোগত সমস্যাও আছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণ এখনও হয়নি।
সরকার পরিবর্তনের এক বছর পর এটি পরিদর্শনে এলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। এ দিন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের কাছে এই নদীবন্দরের সমস্যা এবং সম্ভাবনার কথা শোনেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।