১৮ জুন ২০২৫ বুধবার
প্রকাশ : ৫ জুন ২০২৫, ৯:৪৯ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

ধূমপায়ীরা এই ৫ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিগগিরই করিয়ে নিন

প্রকাশ : ৫ জুন ২০২৫, ৯:৪৯ এএম

👁 21 views

সিগারেটে টান না দিলে দিনটাই যেন শুরু হয় না। সকালে চায়ের কাপে চুমুক আর সিগারেটে লম্বা টান দিলে তবেই মেজাজ ফুরফুরে হয় অনেকের। অফিসে কাজের ফাঁকে ধূমপান তো চলেই। মন ভালো থাক বা মন্দ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পাহাড় জমলে তো কথাই নেই। ধূমপায়ীরা প্রায়ই বলেন, সিগারেটে টান না দিলে নাকি মনই ভালো হয় না! অতএব ধূমপানে বিরতি নেই। ছাড়ার ইচ্ছাও নেই। আর যারা ছাড়তে চাইছেন, তারা দীর্ঘ দিনের লালিত অভ্যাসকে বিদায় জানাতে পারছেন না কিছুতেই।

ধূমপান বেশি করুন বা কম, তার প্রভাব শরীরের ওপর পড়বেই। রোজ গুনে গুনে দুটি সিগারেট খান কিংবা অভ্যাসের বশে অনেক— নিকোটিন তিলে তিলে ক্ষতি করে শরীরের। সাময়িকভাবে তা বোঝা যায় না। কিন্তু যত দিন যায়, তত প্রকাশ পেতে থাকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো।

ফুসফুসের ক্যানসার, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস থেকে দাঁতের ক্ষয়— ধূমপানের ক্ষতির তালিকাটা লম্বা। নিকোটিন তিল তিল করে শরীরে কী পরিবর্তন আনছে তা ধরা না গেলে পরবর্তীতে বড় বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন এবং রীতিমতো আসক্ত, তাদের কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে। সেগুলো কী কী এবং কেন করাবেন, তা জেনে নেওয়া যাক।

১. স্পাইরোমেট্রি
শ্বাসের পরীক্ষা। যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি নল দিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস টানতে ও ছাড়তে হয়। এতে বোঝা যায় শ্বাসপ্রশ্বাসে হার স্বাভাবিক কি না। শ্বাসের গতি দেখে ফুসফুসের অবস্থা বোঝা যায়। হাঁপানি, সিওপিডি, পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মতো রোগও শনাক্ত করা যায়।

২. চেস্ট রেডিয়োগ্রাফ
ফুসফুসে ক্যানসার বাসা বাঁধছে কি না, হার্টের অবস্থা কেমন তা জানতে চেস্ট এক্স-রে বা চেস্ট প্রোজেকশন রেডিয়োগ্রাফ করিয়ে রাখলে ভালো হয়। এই পরীক্ষায় ধরা পড়ে ধমনী দিয়ে রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, হার্টে ব্লকেজ রয়েছে কি না, ফুসফুসের ভেতর টিউমার কোষ তৈরি হচ্ছে কি না।

৩. গ্লুকোজ় টলারেন্স টেস্ট
অত্যধিক নিকোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণে তারতম্য ঘটে। যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাদের রক্তে শর্করা বাড়ছে কি না বা তারা প্রি-ডায়াবেটিক কি না, তা ধরা পড়বে গ্লুকোজ় টলারেন্স টেস্টে।

৪. ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাফি
এটি কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং পদ্ধতি। দীর্ঘ সময় ধরে যারা ধূমপান করছেন তাদের এই পরীক্ষাটি করিয়ে রাখাই ভালো। এতে বোঝা যায় হৃৎস্পন্দনের হার অনিয়মিত হচ্ছে কি না, ধমনীতে কোনো ‘প্লাক’ জমছে কি না। হৃদরোগের লক্ষণও ধরা পড়ে এই পরীক্ষায়।

৫. হাই-সেনসিটিভিটি সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন টেস্ট
এটি রক্তের একটি পরীক্ষা। এই টেস্টে রক্তে সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি)-এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রোটিনটির ওঠানামায় শরীরে প্রদাহ তৈরি হয়। যা দেখে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না, তা ধরা যায়। এইচএস-সিআরপি লেভেল পরীক্ষাটি আগে থেকে করিয়ে রাখলে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x