আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে। এদিকে নতুন পে স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কত বাড়তে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, ১০ বছর পর এই কমিশন গঠিত হয়েছে। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখেই সুপারিশ করা হবে। বর্তমানে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত (১২:১, ১০:১, ৮:১) নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটিও কমিশনের নজরে আছে। এগুলো বিবেচনা করেই বর্তমানে থাকা ২০টি গ্রেড ভেঙে গ্রেড কমিয়ে বেতনের অনুপাতে সামঞ্জস্য করার চিন্তা রয়েছে কমিশনের।
তিনি ইঙ্গিত দেন, নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন হলে ১ম গ্রেডে সর্বোচ্চ বেতন দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন হবে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে সর্বোচ্চ পদ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন পদ (গ্রেড-২০)-এর বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১ (অর্থাৎ ১ম গ্রেডের একজন কর্মকর্তার বেতন ১০ টাকা হলে ২০তম গ্রেডের বেতন হবে ১ টাকা)।
নতুন কাঠামোতেও এ অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতসহ অন্যান্য দেশে এ ধরনের অনুপাত বিদ্যমান রয়েছে বলে কমিশন পর্যালোচনায় পেয়েছে। ফলে বিদ্যমান ২০টি গ্রেড থেকে গ্রেডের সংখ্যা যদি কমানোও হয়, তারপরেও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের ক্ষেত্রে একই অনুপাত বহাল রাখার সুপারিশ করবে কমিশন। এদিকে ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য তারা পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।