বয়স বাড়লে নাকি নারীদের মধ্যে প্রেম, অন্তরঙ্গতার ইচ্ছে কমে যায়। এমনটাই মনে করেন অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু এঘটনা মোটেও সত্য নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অন্তরঙ্গতা বা রোমান্সের ইচ্ছে থাকলেও তা মুখ ফুটে বলতে পারেন না বেশির ভাগ নারী। এবার সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কথা বললেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত।
কঙ্কনা সেনশর্মা পরিচালিত ‘মেট্রো…ইন দিনো’ সিনেমায় বয়স্ক দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন নীনা গুপ্ত এবং অনুপম খের। সেই ছবির প্রচারে নীনা খোলাখুলি কথা বলেন বয়স্ক নারীদের অন্তরঙ্গতার ইচ্ছে নিয়ে। ভালোবাসা বা অন্তরঙ্গতার কোনো এক্সপায়ারি ডেট হয় না। কিন্তু সাংসারিক দায়-দায়িত্বের মধ্যে নারীরা নিজেদের ভুলে যান। তারা নিজের ইচ্ছে সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেন না। কিন্তু তাদের মনেও অন্তরঙ্গতা বা যৌন মিলনের ইচ্ছে থাকে। আর এতে কোনো দোষ নেই।
নীনা বলেন, ‘এটা ভাববেন না যে, ৬০, ৭০ বা ৮০ বছরের পুরুষ ও নারীদের মধ্যে রোমান্সের ইচ্ছে থাকে না। আজকাল আমি দেখি ৪০ বছরের নারীরা জিমে যায় এবং নিজেদের ফিট ও সুন্দর রাখতে চায়।’ নীনা জানান, ইচ্ছে থাকা দরকার। এই ইচ্ছে থেকেই জৌলুস আসে। নীনা আরো বলেন, ‘পুরুষেরা বাইরে গিয়ে কিছু না কিছু করে। কিন্তু মাঝবয়সী নারীরা কিছুই করে না। কী মনে হয়, তারা স্বপ্ন দেখেন না?’
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে অন্তরঙ্গতা সম্পর্কের ভিতকে আরো মজবুত করে তোলে। এএআরপি ন্যাশানাল সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, ৪০ বা তার বেশি বয়সী ৬১% মানুষ মনে করেন, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্ককে আরো সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে।
ন্যাশানাল কাউন্সিল অব এজিং-এর মতে, সম্পর্ক তখনই সুন্দর হয় যখন দুজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, যখন দেহে অক্সিটোসিন নামের ‘হ্যাপি হরমোন’ নির্গত হয়। এই হরমোন মানসিক চাপ কমায়, মনকে শান্ত রাখে। আর এই হরমোন নিঃসরণে অন্তরঙ্গতা সাহায্য করতে পারে।
সূত্র: ডেকন ক্রনিকল