মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসের (এনওয়াইটি) বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা) মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও ডেমোক্র্যাটদের মুখপাত্র হওয়ার অভিযোগ এনে সোমবার রাতে ফ্লোরিডার একটি জেলা আদালতে তার আইনজীবীরা এই মামলা করেন। মামলায় ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, নিউইয়র্ক টাইমস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির “মুখপাত্রে” পরিণত হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।
এটি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার সর্বশেষ উদাহরণ। এর আগে তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, এবিসি নিউজ, এমনকি প্যারামাউন্টের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। এবিসি নিউজের সঞ্চালক জর্জ স্টেফানোপোলাস ও প্যারামাউন্টের সঙ্গে করা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ মিলিয়ন ডলারে। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মামলা এখনো চলমান।
ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে তার দাবির পক্ষে তেমন কোনও প্রমাণ না দিলেও দায়ের করা নতুন মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবীরা কয়েকটি প্রতিবেদন ও সাংবাদিক সুসান ক্রেইগ এবং রাস বুয়েটনারের লেখা “লাকি লুজার: কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাবার অর্জিত সম্পদ নষ্ট করে সফলতার ভুয়া গল্প গড়েছিলেন” এই বইকে কেন্দ্র করে অভিযোগ এনেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এসব প্রকাশনা ইচ্ছাকৃতভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য করা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেছেন, নিউইয়র্ক টাইমস “দশকের পর দশক ধরে তার, তার পরিবার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক আন্দোলন সম্পর্কে মিথ্যাচার করে আসছে।” এছাড়া ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিসকে সমর্থন জানানোকে তিনি অবৈধ প্রচার অনুদান বলে অভিহিত করেন। যদিও নিউইয়র্ক টাইমস এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রকাশিত একটি মতামত কলামকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তবে আদালত সেটি “সুরক্ষিত বক্তব্য” হিসেবে খারিজ করে দেন। ২০১৮ সালে তার পরিবারের সম্পদ ও কর সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নিয়েও তিনি মামলা করেছিলেন, যা ২০২৩ সালে নিউইয়র্কের আদালত বাতিল করে। বর্তমান মামলায় ট্রাম্প ১৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।