নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল কলাপাড়া-কুয়াকাটা সংলগ্ন এলাকায় বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। ঘাটে ফিরে এসেছে হাজার হাজার মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার। পর্যটক কমে গেছে কুয়াকাটায়। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে সারাক্ষণ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
দুই দিন ধরে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তাই পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরের ঘাটগুলোতে হাজারো জেলের সমাগম দেখা যায়। দুই পাড়ের বাজারগুলো জেলেদের আগমনে সরগরম হয়ে আছে। তবে ঘাটে আসা অধিকাংশ ট্রলার ফিরেছে শূন্য হাতে। জেলেরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রে মাছ ধরে শান্তি নেই।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএম মোতালেব শরীফ জানান, বর্ষা মৌসুমে এমনিতেই পর্যটক অনেক কম থাকে কুয়াকাটায়। এর মধ্যে এ রকম টানা বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা। গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে ভালো পর্যটক সমাগম হয়েছিল। কিন্তু গত দুদিন ধরে তাতে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে কুয়াকাটাসহ উপকূলের আকাশ কালো হয়ে আছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, বাতাস বইছে। আবহাওয়ার এ প্রভাব না কাটলে কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়বে না।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, এই পরিস্থিতি আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টা চলমান থাকবে। তাই উপকূলের সাধারণ মানুষদের সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি আজ সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আগামীকাল সকাল নাগাদ ভারতের দক্ষিণ ওড়িষ্যা-উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।