২১ জুন ২০২৫ শনিবার
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ৪:৪৮ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

নিয়মিত গান শোনার উপকারিতাগুলো জেনে নিন

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ৪:৪৮ পিএম

👁 12 views

গান মন এবং মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। এতে স্নায়ুর চাপও কমে। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। মনোযোগ ও একাগ্রতাও বাড়ে এতে। যেকোনো কাজে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়।

ঘরে মিটিমিটি আলো জ্বলছে। পছন্দের গান বাজছে মৃদু শব্দে। ব্যথা-বেদনায় মন যতই ভারাক্রান্ত থাক, পছন্দের সুরে মন চনমনিয়ে উঠবেই। গান শুনলে মন ভালো হয় তো বটেই, শরীরও চাঙা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গান শুনলে মন এবং মস্তিষ্কের হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে তো বটেই, মনের অসুখও কাছে ঘেঁষতে পারে না। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চাবিকাঠিও আছে গানের মধ্যেই। নিয়মিত গান শুনলে শরীরের কী কী উপকার হতে পারে তা জেনে নিন।

মানসিক উদ্বেগ কমবে
গানের সুর পৌঁছায় মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস পর্যন্ত। এটিই হলো আবেগের কেন্দ্র। গানের সুরে হাইপোথ্যালামাস উদ্দীপ্ত হয়, সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল-এর ক্ষরণও কমে। এতে অবসাদ, টেনশনও কমে আসে। মনের অন্ধকারও ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
হৃদস্পন্দন, নাড়ির গতি এবং রক্তচাপ যদি বেড়ে গিয়ে থাকে, তা হলে গানের সুরেই তা কমতে পারে। নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদি অনেক ক্রনিক অসুখের হাত থেকে রেহাই দিতে পারে। কারণ মন যত ভালো থাকবে, হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণও তত বাড়বে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও ঠিক থাকবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে
গান মন এবং মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। এতে স্নায়ুর চাপও কমে। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। মনোযোগ ও একাগ্রতাও বাড়ে এতে। যেকোনো কাজে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়।

অনিদ্রা তাড়াতে
শত ক্লান্তিতেও ঘুম আসে না? দুচোখ বুঁজে শুয়ে না থেকে ভালো গান শুনুন। দিনে বার চারেক ১৫ মিনিট করে গান শুনুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে গান শুনতে পারেন। হালকা সুর শুনতে হবে। গানের সুরে ঘুম ভালো হয়। ঘুমের সময় চিন্তা, উদ্বেগ দূরে রাখতে গান শুনুন।
সূত্র: অ্যাথেনা হেলথ

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x