বগুড়ায় ছুরি-চাকু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং নিরাপদ বগুড়া গড়তে সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা, পিপিএম।
এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা। লিফলেট বিতরণকালে পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে একটি নিরাপদ বগুড়া গড়া সম্ভব। জনগণ যদি সঠিক তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে, তাহলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। আমাদের এই সচেতনতামূলক উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণই হতে পারে একটি নিরাপদ আগামীর সূচনা।
তিনি আরও বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে এককভাবে অপরাধ দমন সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সহযোগিতা ও সচেতন অংশগ্রহণ। লিফলেটের মাধ্যমে নাগরিকদের করণীয়, সন্দেহজনক কিছু দেখলে কীভাবে পুলিশকে জানাতে হবে, এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচিতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, বগুড়া সদর থানার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। পথচারী, দোকানদার, রিকশাচালক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় সচেতনতামূলক লিফলেট। এতে সাধারণ মানুষও আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করে এবং পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। বগুড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ছুরি ও চাকু সন্ত্রাসের কয়েকটি ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ জননিরাপত্তা ও সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুধু শহরে নয়, পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও পরিচালনা করা হবে। এছাড়া স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রশাসন আশা করছে, নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বগুড়াকে একটি সন্ত্রাসমুক্ত, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।