জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত। তবে সেটা অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। নভেম্বর, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে—যেকোনো সময় নির্বাচন হোক। কিন্তু পুরোনো নিয়মে না। জনগণের সামনে প্রকৃত অপশন থাকতে হবে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন মানে হবে—মধ্যরাতের ভোটের পুনরাবৃত্তি। আমরা বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করব না। জনগণের সামনে বিকল্প থাকতে হবে। আগের মতো ওসি নির্ভর বা প্রশাসননির্ভর নির্বাচন আমরা চাই না। তিনি বলেন, আমরা বিক্রি হতে আসিনি। আসন দিয়ে আমাদের কেনা সম্ভব নয়। নতুন বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের আস্থা থাকলেই আমরা টিকে থাকব।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তবে এখন পর্যন্ত একটি প্রমাণও হাজির করা যায়নি বলে দাবি তার। তিনি বলেন, এক বছরে একজনও যদি প্রমাণ দিতে পারে নাই যে আমরা দুর্নীতি করেছি। যদি নথি, অডিও, ভিডিও, সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু ভুয়া সংবাদ দিয়ে চরিত্রহনন করা হলে তার দায় নিতে হবে।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, কেবল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই হবে না, বরং পুরো রাজনৈতিক খেলার নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে। আগে দেখা গেছে রেফারি গোল দিয়েছে, প্রশাসন খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। এবার নিয়ম বদলাতে হবে। রেফারি রেফারি থাকবে, খেলোয়াড় খেলোয়াড় থাকবে।
প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে, সেটা আমরা মেনে নেব। কিন্তু সমঝোতার নির্বাচন নয়। বর্তমান সংবিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এই নেতা বলেন, এটা এখন ‘টেক্সট বুক অব ফ্যাসিজম’। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা কার্যকর নয়। নতুন সংবিধান ছাড়া জনগণের রাষ্ট্র গড়া সম্ভব না।