বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গাজীপুরের পিরুজালিতে নুহাশপল্লীর লিচুতলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় এই নন্দিত সাহিত্যিককে। দুপুরে হুমায়ূনের কবর জিয়ারত করেন তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লেখকের শুভানুধ্যায়ী ও অসংখ্য ভক্ত।
কবর জিয়ারতের সময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া, কুরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারও নুহাশপল্লীর লিচুতলায় ভিড় করেন লেখকের ভক্ত, কবি, লেখক ও নাট্যজনেরা। লেখকের জনপ্রিয় চরিত্র হিমু ও রূপার সাজে আসেন অনেকে। হলুদ পাঞ্জাবি পরা তরুণ ও নীল শাড়ি পরিহিত তরুণীদের উপস্থিতি যেন জীবন্ত করে তুলেছিল হুমায়ূনের সৃষ্ট চরিত্রগুলোকে।
এই উপলক্ষে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূনের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ ধারণ করতে হবে। বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, হুমায়ূন আহমেদ ততদিন পাঠকহৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর পিতা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান এবং মা আয়েশা ফয়েজ। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভোগার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি আজও মানুষকে আনন্দ দেয়, উদ্বেল করে। সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এবং ভক্তদের হৃদয়ে।