ঈদুল আজহা সামনে রেখে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবার গরম মসলার দামও কম। এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গসহ বেশিরভাগ মসলার দর গত বছরের চেয়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহখানেক পরেই কোরবানির ঈদ। তাই দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরাসহ নানা মসলা জাতীয় পণ্যগুলো গোডাউন থেকে ট্রাকে ট্রাকে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি অমর কান্তি দাশ জানান, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এবার দেশে পর্যাপ্ত মসলার আমদানি হয়েছে। ঈদের বাড়তি চাহিদা বিবেচনা করে তিন মাস আগেই রফতানিকারক দেশগুলো থেকে মসলা আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এ বছর অধিকাংশ গরম মসলার দাম বিগত বছরের তুলনায় কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কম।
এদিকে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও বিগত বছরের তুলনায় বেচাকেনা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এছাড়া চোরাই পথে দেশে মসলা ঢোকায় সরকার রাজস্ব থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি আমদানিকারকদের। এছাড়া কাঁচা পণ্যের মধ্যে চাহিদার চেয়েও বেশি সরবরাহ দেশীয় পেঁয়াজের। ফলে দামও স্থিতিশীল। তবে সরবরাহ সংকটে ঊর্ধ্বমুখী রসুন ও আদার বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মসলা আমদানি করা হয়।