পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ফেনীর পরশুরামে ব্যবসায়ী সুমন হোসেনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এঘটনা ঘটে।
পরশুরাম উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের অভিযোগ- বকেয়া টাকা চাওয়াতে দক্ষিণ কোলাপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়- যুবদলনেতা সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন ওই ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করছে। একপর্যায়ে মারতে মারতে তার গায়ের পোশাক খুলে নেয় তারা। তারপরও তারা ক্ষান্ত হচ্ছে না। বার বার টেনেহিঁচড়ে সুমনকে দোকান থেকে বের করার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী সুমন হোসেন জানান, বর্তমানে তিনি পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সাথে কথা বলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় সম্পৃক্ত যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি মো. সায়েমকে গত ২৫ জুন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পরশুরাম পৌর যুবদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিছফাকুছ ছামাদ রনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছার চৌধুরী কমল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেনী জেলা যুবদলের নির্দেশক্রমে পরশুরাম পৌর যুবদলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. সায়েমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত যুবদলনেতা মো. সায়েমের মুঠোফোনে বার বার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন জানান, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সায়েমকে গত ২৫ জুন অর্থাৎ ১৭ দিন আগে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।