এশিয়া কাপে ‘হ্যান্ডশেক বিতর্ক’ এখনও থামছে না। ভারতের বিপক্ষে টসের সময় দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট, এমন অভিযোগ তুলেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ম্যাচ শেষেও হাত মেলাননি ভারতের ক্রিকেটাররা। এরপরই জিম্বাবুয়ের এই রেফারিকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি জানায় পাকিস্তান। এমনকি আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে আইসিসি সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। দুবাইতে আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করেন পাইক্রফট।
আমিরাত ম্যাচের আগে পিসিবি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভুল বোঝাবুঝি স্বীকার করে পাকিস্তান টিম ম্যানেজার ও অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পাইক্রফট। প্রমাণ হিসেবে প্রকাশ করা হয় এক ভিডিও, যেখানে অধিনায়ক সালমান আগা, টিম ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চীমা, কোচ মাইক হেসনসহ কয়েকজনকে দেখা যায়। তবে সেই ভিডিওতে কোনো শব্দ ছিল না।
কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি, আসলে কোনো ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাইক্রফটের কক্ষে পাকিস্তানের কোচ, ম্যানেজার ও অধিনায়ককে নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। তবে সেটি ছিল কেবল ভুল বোঝাবুঝি দূর করার জন্য। পত্রিকার ভাষ্য, কোনো ধরনের ক্ষমা প্রার্থনার প্রশ্নই ওঠে না। বিশেষ করে এমন একজনের ক্ষেত্রে, যিনি কোনো ভুলই করেননি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান যে ভিডিও প্রকাশ করেছে, সেটি নিঃশব্দ। ফলে আসল আলোচনার বিষয়বস্তু সেখানে প্রকাশ পায়নি।
আইসিসিও জানিয়ে দিয়েছে, পাইক্রফট কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি এবং তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন আচরণবিধি মেনেই। পাশাপাশি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনো দলের দাবির ভিত্তিতে কর্মকর্তাকে বদলানো সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত আইসিসির সিদ্ধান্ত মেনেই আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছে পাকিস্তান। তবে এই ‘হ্যান্ডশেক বিতর্কে’ পাকিস্তান সুপার ফোরে গেলেও বিতর্ক থামছে না।
এদিকে পাইক্রফটের ক্ষমা চাওয়াকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে দেখছেন সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য একটি নৈতিক জয়। পরিস্থিতি খুবই সঙ্কটপূর্ণ ছিল। আবেগের জোয়ার বয়ে যাচ্ছিল। আমি খুশি যে, আমরা কোনো আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নেইনি। টুর্নামেন্ট বর্জন করলে দেশের ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হতো। এই হতাশা-ক্ষোভ যেন মাঠে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।