এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাট চাষে সোনালি স্বপ্ন দেখছেন জেলার কৃষকরা। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাটের উৎপাদন বেশি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। আষাঢ় মাসের শেষে শ্রাবণের শুরুতে জেলার কৃষকরা পাট কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাগুরার মাঠে মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা পাট কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেকে পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য নদী অথবা খাল-বিলে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। ইতিমধ্যেই জেলার কৃষকরা পাট কাটার কাজে ব্যস্ত হয়েছেন। এবার জেলায় মোট ৩৪ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তার মধ্যে সদরে ১০২০০ হেক্টর, শ্রীপুরে ৯১০০ হেক্টর, মহম্মদপুরে ১০২৫০ হেক্টর ও শালিখায় ৩৮০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
মাগুরা সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের পাটচাষি নাজিমুদ্দিন জানান, আমি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। ইতিমধ্যে আমার জমির ৬০ শতাংশ পাট কেটে জাগ দিয়েছি। এবার আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় খালে-বিলে ও নদীতে প্রচুর পানি হয়েছে তাই পাট জাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে না। আশা করি, এবার পাটে লাভবান পাব।

মাগুরা সদরের জগদল গ্রামের পাটচাষি কবির হোসেন জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। আমার জমির পাট কাটা চলছে। আমি পাট কেটে পার্শ্ববর্তী খালে-বিলে জাগ দিয়েছি। আশা রাখছি গতবারের চেয়ে এবার ভালো অর্থ পাব।
সদরের নরসিংহহাটি গ্রামের কৃষক জামিল হোসেন বলেন, পাট চাষে পরিশ্রম বেশি খরচ বেশি। গতবারের থেকে এবার অল্প জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আমার জমির পাট কাটা শেষ। আমি নদীতে জাগ দিয়েছি।
সদরের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মারুফ হোসেন জানান, আমি বরাবরই পাটের আবাদ করি। এবার তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ২ বিঘা জমির পাট কাটা শেষ হয়েছে। এবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ছাড়িয়ে যাবে। তাই গতবারের থেকে এবার ভালো ফলন পাব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। এবার জেলার ৫৬০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলার কৃষকরা পাট কেটে নদী-খালে-বিলে জাগ দিতে শুরু করেছে। আশা করছি জেলার কৃষকরা এবার পাটে লাভবান হবে।