২ আগস্ট ২০২৫ শনিবার
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১:০০ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

পাবনায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আহত ১৫

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১:০০ এএম
পাবনায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আহত ১৫

পাবনার সুজানগরে মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে সুজানগর পৌরবাজারের নন্দিতা সিনেমা হল এলাকায় এঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ (৫০), চর সুজানগরের জালাল উদ্দিনের ছেলে সুজন আলী (৩৫), শেখ মনজেদ আলী ( ৩০), চর ভবানীপুরের শুকুর আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী (৫৬), আলহাজ্ব হোসেন (৪০), যুবদল কর্মী মানিক খা( ৩৫), চর ভবানীপুরের রশিদ খার ছেলে সবুজ খা (৩০), চর সুজানগরের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রহমান (৪৫), সুজানগর মাষ্টারপাড়ার মোনায়েম খার ছেলে শাকিল খা (২৫), চর সুজানগরের আলতু খানের ছেলে রিয়াজ খান (২৫), টিক্কা খান (৬০), পাবনা সদরের চরতারাপুরের কাচিপাড়ার আজহার আলীর ছেলে তুষার (৪০), আসলাম (৪৫) ও মনজিল (৩০)। অন্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফোনে এক নারীর সাথে কথা বলাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁ এর অনুসারী আশিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ছাত্রদল নেতা কাউছার ও তার অনুসারীরা।

এরপর এ ঘটনা ওই দিনই মীমাংসা হলেও পরদিন বুধবার দুপুরে আশিককে সিনেমা হলের সামনে আবার ডাকেন কাউছাররা। এসময় কাউছারদের সাথে দেখা করতে আশিক তার চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা সবুজকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কাউছার ও আশিকের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় সবুজ বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আশিক ও সবুজ তাদের অভিভাবক ও বিএনপি নেতাদের জানায়। এরপর তারা দলবদ্ধভাবে এসে কাউছারদের ওপর হামলা চালায়।

এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে থামাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। এসময় কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। আহতদের সাতজন পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও সাতজন সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ শেখ ও মজিবর খাঁ এর সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌফিক হাসান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি দলীয় কোনো বিষয় নয়। আঞ্চলিক বা ব্যক্তিগত বিষয়। তবুও এধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আসলেই নিন্দনীয়। ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র দুগ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। আসলে কি নিয়ে আজকের এই ঘটনা এটা এখনও পুলিশ পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। শুনেছি উভয় গ্রুপের সৃষ্ট এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x