অর্থিক খাতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তিনি এমন তথ্য জানান। এদিন পিকের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিকে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে আরও একটি দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার অভিযোগ উঠে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অর্ধশত মামলা করেছে দুদক।
তিন বছর আগে কলকাতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে। দুদকের মামলায় বাংলাদেশের আদালতেও তার বিচার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার পিকের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। দুদক জানিয়েছে, মূলহোতা পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
এদিকে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে আরও একটি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এবার তার বিরুদ্ধে ভিভিআইপি প্রোগ্রামের নামে অর্থ লুটপাটসহ বিস্তার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান দুদক মহাপরিচালক। এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।