কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কির পাশাপাশি ইউরোপী ইউনিয়নের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। সোমবার (১৯ আগস্ট) ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সেখানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, জার্মান চ্যান্সেলর, ইতালির প্রধানমন্ত্রী, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান এবং ন্যাটো মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এদিন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বসার আগে হোয়াইট হাউসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ট্রাম্প গলা নামিয়ে পুতিনকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। এসময় সামনে থাকা হট মাইক যে চালু রয়েছে সম্ভবত খেয়াল করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে মাক্রোঁর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কথা ছড়িয়ে পড়ে হোয়াইট হাউসের গোটা ইস্ট রুমে। তাতে শোনা যায়, ট্রাম্প ম্যাক্রোঁকে বলেন, ‘আমার মনে হয় তিনি (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) একটা চুক্তি করতে চায়। বিষয়টি যতই অদ্ভুত শোনায় না কেন তিনি আমার জন্য হলেও একটা চুক্তি করতে চায়। বুঝতে পারছেন?
ট্রাম্প মূলত গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের কথা বুঝিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় তিনি বিশ্বাস করেন পুতিন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনের জেলেনস্কির সাথে খুব ভালো বৈঠকের পর তিনি পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে পুতিনকে অবহিত করেছেন বলেও জানান ট্রাম্প।
এর আগে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সাথে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, আলোচনার শেষে আমি পুতিনকে ফোন করেছি এবং পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বৈঠকের কাজ শুরু করেছি।