মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পছন্দ করেন। কিন্তু ইউক্রেন সংঘাত অব্যাহত থাকায় তিনি হতাশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বলেছেন। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর রাশিয়া-ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোতে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে মেলানিয়া গোপনে প্রভাব বিস্তার করছেন। যা প্রেসিডেন্টের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পড ফোর্স ওয়ানের মঙ্গলবারের পর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পুতিনকে তিনি (মেলানিয়া) পছন্দ করেন। তিনি তার সাথে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। ট্রাম্প জানান, পুতিনের সাথে তার সাম্প্রতিক কথোপকথনের পরপরই মেলানিয়ার মন্তব্য ছিল- ‘খুব খারাপ যে তারা কিয়েভে বোমা হামলা চালিয়েছে।’
এই মাসের শুরুতে দ্য টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলেছে, স্বামীর সিদ্ধান্ত গঠনে মেলানিয়া ট্রাম্পের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, তার স্ত্রী কেবল রক্তপাতের অবসান দেখতে চান। তবে ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে তার প্রভাবকে একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
৫৫ বছর বয়সী মেলানিয়া সোভিয়েত যুগের স্লোভেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এখন কিয়েভের একজন কট্টর সমর্থক তিনি। সংবাদমাধ্যমটির সূত্র উল্লেখ করে আরটি বলেছে, সংঘাতের বিরুদ্ধে তার গভীর আগ্রহ সেই পটভূমিকে প্রতিফলিত করে।
মার্কিন আইনপ্রণেতা ডন বেকন এই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের স্পষ্ট মোড় নেওয়ার পেছনে ফার্স্ট লেডি কৃতিত্বের দাবিদার হতে পারেন। বেকন আরও বলেন, ইউক্রেন সম্পর্কে ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট। মেলানিয়া যদি এতে নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তবে আমি অবাক হব না।
এই বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প বলছেন, তিনি রাশিয়া এবং পুতিন উভয়কেই সম্মান করেন। সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে চান। তবে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির অভাবের জন্য তিনি ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করে আসছেন। এমনকি মস্কোকে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ট্রাম্প মস্কো এবং কিয়েভকে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তার ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে মাত্র ১০ দিন করেছেন। এ সময় কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের লক্ষ্য করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়ান কর্মকর্তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করেছেন।