রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের পরিকল্পনা কোনো নেই। এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) মার্কিন এনবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দেন ল্যাভরভ। সেখানে তিনি বলেন, শীর্ষ বৈঠকের এজেন্ডা প্রস্তুত হলেই কেবল জেলেনস্কির সঙ্গে বসবেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার কথায়, পুতিন এজেন্ডা প্রস্তুত হলেই জেলেনস্কির সাথে দেখা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই এজেন্ডা মোটেও প্রস্তুত নয়।
গত সপ্তাহে আলাস্কায় পুতিনের সাথে ট্রাম্পের বৈঠক এবং পরবর্তীতে ওয়াশিংটনে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আলোচনার পর হোয়াইট হাউস পুতিন ও জেলেনস্কির শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের জোর তৎপরতা শুরু করে। বৈঠকের স্থান ও তারিখ নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছেন কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের জন্য তুরস্ক, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডকে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি বৈঠকটি ফলপ্রসূ হবে এবং ইউরোপীয় নেতারাও জোর দিয়েছেন যে বৈঠকটি ইউরোপের নিরপেক্ষ কোনো দেশে হওয়া উচিত।
তবে পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। রুশ উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, কেউ বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেনি, তবে শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক অর্থহীন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠককে এক ধরনের আপস বলে মন্তব্য করে রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা কনস্তান্তিন জাতুলিন বলেন, পুতিন-জেলেনস্কি সম্ভাব্য বৈঠকটিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একধরনের ছাড় হিসেবে দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে রাশিয়া জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক–সম্পর্কিত নিজেদের উদ্বেগ এক পাশে সরিয়ে রাখবে। একই কথা বলছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভও। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত, যদি এই বৈঠকে সত্যিই একটি এজেন্ডা থাকে।’ তিনি বলেন, ইউক্রেনই শান্তি চুক্তির অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।