জুলাই অভ্যুত্থানের কারণে দেশ ছেড়ে ভিারতে গিয়ে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সম সাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তারা। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকানো যাচ্ছে না, এটি বন্ধে ভারতের সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, কনস্যুলার ম্যাকানিজমের মধ্যে একটি নিয়মে আনার চেষ্টা করা চলছে। তালিকা অনুযায়ী যাদের পেয়েছি, ফেরত দিয়েছি। এ সময় সীমান্ত হত্যা নিয়ে নমনীয়তার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি। নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ চলবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী। এক্ষেত্রে সবার আগে আমাদের ঘর সামলাতে হবে। যেভাবে নিয়ম মেনে-না মেনে লোকজন যাচ্ছে তাতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ সময় মার্কিনিদের স্টুডেন্ট ভিসা দেয়ার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেন তৌহিদ হোসেন।
ব্রিফিংয়ে ভারত দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ার বিষয়টিকে শাপেবর বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরা বিকল্প তৈরি করেছি, এতে আমাদের শাপেবর হয়েছে।
বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত তাদের জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি বন্ধুরা জানতে চাইলে সরকারের সিদ্ধান্তই তাদের জানানো হয়। নির্বাচন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আশা করা যায় বলে জানান তিনি।