২ আগস্ট ২০২৫ শনিবার
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ৮:৩১ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

‘পুশ ইন করতে হলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও হাসিনাকে করুন’

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ৮:৩১ পিএম
পুশ ইন করতে হলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও হাসিনাকে করুন: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কোটা আন্দোলন থেকে গণ-অভ্যুত্থান যার মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে দিল্লিতে পালিয়েছে। সেই দিল্লিতে বসে রয়েছে শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের হাজারো সন্ত্রাসীকে দিল্লি আশ্রয় দিয়েছে। আর এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত পুশ ইন হচ্ছে, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই পুশ ইনের বিরোধিতা করেছি। আমরা ভারত সরকারকে বলেছি, সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড মেনে নেব না, সীমান্তে আমরা কোনো পুশ ইন মেনে নেব না। পুশ ইন করতে হলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পুশ ইন করুন, শেখ হাসিনাকে পুশ ইন করুন। আমরা বিচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।

আজ রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর শহরের থানার মোড়ে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেও আমরা দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গিয়েছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে রয়েছে। আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি কিভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছিল। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, গোপালগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে মুজিববাদকে আমরা দাঁড়াতে দেব না। যারা এখনো প্রশাসনসহ পুলিশে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করছেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের প্রশয় দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শেরপুরে হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসাসেবা নেই, শিক্ষাব্যবস্থা পর্যাপ্ত নেই, কর্মসংস্থান নেই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিগত আমলে শাসন করলেও শেরপুরে উন্নয়ন নেই। উন্নয়ন পেয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দোসররা, সন্ত্রাসীরা। যারা দেশের টাকা লুটে বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছে।

পথসভায় উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটা সিস্টেম কিছু ধান্দাবাজ, বাটপার ও ব্যক্তিস্বার্থকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছিল। অভ্যুত্থানপরবর্তী সময় গিয়েছে সেই লোকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অতঃপর কালপ্রিটরা আবারো সেই সিস্টেমগুলোতে নতুন করে জেঁকে বসেছে।

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিতে আমরা স্লোগান দেই না ‘নেতা তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’। একটা বিপদ আসলে বুঝা যায় কজন রাজপথে থাকে। ভালো সময় থাকলে কর্মীর অভাব হয় না। কিন্তু সংকটের সময় যারা রাজপথে থাকে তারা প্রকৃত কর্মী। আমার হাজারো লাখো কর্মীর দরকার নাই। যারা সংকটকে মোকাবিলা করবে সেই কর্মীগুলো আমার প্রয়োজন। আর এই কর্মীগুলোকে নিয়েই আমরা রাজনীতি করতে এসেছি। আপনাদের কারো নেতার সাথে সেলফি তুলে ফেসবুকে দিয়ে নেতা হওয়ার দরকার নেই। নেতার পেছনে না ঘুরে যোগ্যতা অনুযায়ী নিজে নেতা হন। আমরা খবর পেয়েছি, গতকাল আমাদেরই এক সহকর্মী চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। আমি বলতে চাই, যে দলেরই চাঁদাবাজ হোক না কেন তাকে থানায় দেবেন। আর আমার দলের কেউ চাঁদাবাজি করলে আগে ‘আপ্যায়ন’ করবেন পরে থানায় দিবেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন বলেন, গত কয়েকদিন আগে ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে যেই শিশুরা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে তাদের চেয়েও দগ্ধ মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমরা লক্ষ করছি, এঘটনার তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই, এই মাইলস্টোনের ঘটনার পেছনে কার কার হাত আছে আমরা জানতে চাই।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীনসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা।

পথসভার আগে, শহরের শহীদ মাহবুব চত্বর থেকে জুলাই পদযাত্রা শুরু হয়। এতে যোগ দেন এনসিপির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x