২৯ জুন ২০২৫ রবিবার
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১:০৭ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

‘প্রেস সচিব অবরুদ্ধ ছিলেন না, তিনি খুলনার অতিথি’

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১:০৭ এএম

খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম অবরুদ্ধ বলে তথ্য ছড়ালেও পরে জানা গেছে, সেখানে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী কথা বলেছেন। তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন না। শনিবার (২৮ জুন) রাতে আন্দোলনকারীরাই গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ নয়; খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলীর পদত্যাগ দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে প্রেস ক্লাব ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার (২৮ জুন) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে আমরা অবরুদ্ধ করিনি। তিনি তো আমাদের খুলনার অতিথি। আমরা কেএমপির কমিশনারের পদত্যাগের দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, এই দাবিতে গত চারদিন ধরে আন্দোলন করছি আমরা। তাছাড়া খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এসব বিষয় আমরা প্রেস সচিবকে জানাতে গিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছি খুলনার বর্তমান পরিস্থিতি যেন প্রধান উপদেষ্টাকে জানান প্রেস সচিব।

সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি আরও বলেন, আমরা আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সমাধান চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কিছুই করেননি। আমরা শুধু প্রেস সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি বার্তা দিতে চাই, এ অযোগ্য পুলিশ কমিশনার খুলনায় থাকতে পারবে না।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খুলনা মহানগরের সদস্যসচিব জহুরুল তানভীর বলেন, প্রেস সচিবের কাছে শুধু আমরা একটি মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই, মেসেজটি উনি প্রধান উপদেষ্টাকে দেবেন। গত চারদিন ধরে আমরা কেএমপি কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছি।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে বিএনপি, বৈছাআ ও এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শে‌ষে পু‌লিশ ক‌মিশনারের পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করবেন বলেন আশ্বাস দেন তিনি। এর আগে বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা রয়েছে। এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেপ্তার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x