Site icon সারাবেলার খবর

ফাঁকা হচ্ছে মহাসড়ক, ঘরমুখো মানুষের স্বস্তি

ঈদ কাটাতে গাজীপুর থেকে ঘরমুখো মানুষ এখনো ফিরছে উত্তর জনপদে। ঢাকার টাঙ্গাইল মহাসড়ক অনেকটা ফাঁকা থাকায় যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন। শেষ মুহূর্তের যাত্রা এখন একটু স্বস্তিকর বলেই জানান যাত্রীরা। অথচ গত ৩-৪ দিন ধরে দুর্ভোগ মেনে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে ঘরমুখো মানুষ।

চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ড। সকাল ১০টা। কালিয়াকৈর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে সকালে যানজট থাকলেও দুপুরের পর তা কমতে থাকে। বিকেলের দিকে মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে দূরপাল্লার গাড়ি পথ পাড়ি দিচ্ছে। এতে স্বস্তি মিলছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়া এড়াতে যাত্রীরা বাসের পরিবর্তে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকযোগে দূরপাল্লার পথে যাত্রা করেন।

চান্দরা, কালিয়াকৈর বাস স্ট্যান্ড, লতিবপুর বোর্ড ঘর বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষমাণ যাত্রীসংখ্যা অধিক থাকলেও সোহাগপুর, দেওহাটা, গোড়াকি বাসস্ট্যান্ডে নগণ্যসংখ্যক যাত্রীর দেখা মেলে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনা সদস্যরা মাঠে দায়িত্বরত থাকায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না বলে বাসে গাজীপুর থেকে জামালপুরগামী এক যাত্রী সোহাগ মিয়া এই প্রতিনিধিকে জানান। সন্ধ্যার পর থেকে ওই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ব্যস্ততম রূপ আর থাকবে না বলেও জানালেন অপর যাত্রী কামাল হোসেন। ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক গার্মেন্টকর্মী ছুটি পেয়ে দু-তিন দিন আগে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে চলে গেছেন। রাত পোহালেই ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে দূরপাল্লার বাস যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।

এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ক্রমে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সকালের সৃষ্ট যানজট নেই। অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে না যাত্রীদের কাছ থেকে। একাধিক বাসযাত্রীর সাথে আলাপ করে এতথ্য জানা যায়।

Exit mobile version