যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণে তিনি একথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, যেন সংঘাতকে আরও উৎসাহিত করার জন্য এই সংস্থার (জাতিসংঘ) কিছু সদস্য একতরফাভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এটা হামাসের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার জন্য অনেক বড় পুরস্কার হবে। এটি হবে ৭ অক্টোবরের ঘটনাসহ ভয়াবহ নৃশংসতাগুলোর জন্য হামাসের পুরস্কার। গাজা যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে জাতিসংঘ। সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসার একাধিক দেশের সরকারপ্রধান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালামানকে সঙ্গে এক বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ঘোষণা দেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেন, ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা ধরে রাখতে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। একই বৈঠকে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো ও বেলজিয়ামও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়। এর আগে এই সপ্তাহে কানাডা, ব্রিটেন, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়াও একই ঘোষণা দিয়েছে।
এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের মনোবল বাড়াবে। তবে বাস্তবে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আপাতত কম বলে বিশ্লেষকদের মত। কারণ ইসরায়েলের পর এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রভাবশালী অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। জাতিসংঘের ভাষণে একের পর এক দেশ কর্তৃক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপকে ভুল বার্তা আখ্যা ট্রাম্প। তাঁর মতে, এমন পদক্ষেপ কেবল সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।