মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধভাঙ্গা পানিতে পরশুরাম-ফেনী সড়কের পর এবার ডুবল ছাগলনাইয়া সড়ক। বুধবার রাতে ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়াতে শুরু করেছে। এতে করে ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রেজুমিয়া, কাশিমপুর, নিজপানুয়াসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ফুলগাজী ও পরশুরামের বাঁধভাঙা পানির স্রোত এবার ছাগলনাইয়া উপজেলা ও ফেনী সদর উপজেলার দিকে আসতে শুরু করেছে। বুধবার রাত থেকে এসব নতুন নতুন এলাকায় পানি বাড়তে শুরু করে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের পাঠাননগর ইউনিয়নের রেজুমিয়া অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। এ সড়কের কোথায়ও এক ফুট কোথাও দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি গড়িয়ে যাওয়ার কারণে ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়ন, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়ন, ছনুয়া ইউনিয়ন ও ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এসব এলাকার পুকুর ভেসে গেছে। তবে ফুলগাজী উপজেলায় বাঁধভাঙা পানির চাপ কমতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার আংশিক অংশে প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে, সোমবার থেকে ভারি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থান ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। দূর্গত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফেনী থেকে ফুলগাজী-পরশুরামে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় নিয়োজিত রয়েছে।