রান্নাঘরে রান্না করতে গিয়ে বিষধর সাপের দংশনে রোকেয়া আক্তার রিনা (৪৮) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। ১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ফেনীর পরশুরাম পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। রোকেয়া আক্তার রিনা ওই গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তানের জননী।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, গত কয়েক দিনের বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে খাবার রান্না করতে রোকেয়া রান্নাঘরে যান। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রান্না করার সময় ঘরের গর্ত থেকে একটি বিষধর সাপ বের হয়ে তার পায়ে দংশন করে। চিৎকার শুনে স্বামী শফিকুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসা না নিয়ে ফেনী জেনারল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রেদোয়ান সাপের দংশনে গৃহবধূ মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাহয়াত বিন করিম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোকেয়া আক্তার রিনা সাপে কাটার চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীর তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করার পর স্বজনরা স্বেচ্ছায় ফেনী নিয়ে চিকিৎসা করাবেন বলে কর্মরত চিকিৎসকের নিকট ছাড়পত্র চান। ইতিমধ্যে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ডিউটি চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম প্রস্তত করা শুরু করেন। রোগীর স্বামী শফিকুল ইসলাম অ্যান্টিভেনম প্রস্তত করার পর পরই রোগীকে ফেনী রেফার করতে বলেন, জানান পরবর্তী চিকিৎসা যা করার ফেনীতেই তারা করাবেন বলে নিজ স্বাক্ষরিত লিখিত কাগজ দেন। রোগীকে ফেনী নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ করুণ মৃত্যুতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গভীর শোক ও সহানুভূতি জানাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সাপে কাটা রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনম ফেনীর সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুদ রয়েছে। সাপে কাটা রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে দেরি না করে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য জনসাধারণের নিকট তিনি আহ্বান জানান।