২৫ আগস্ট ২০২৫ সোমবার
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ৩:৪০ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ৩:৪০ পিএম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং এ সরকার তখন নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কথা জানিয়েছিলাম, দেশ এখন স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় তখন নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব নেবে। মিয়ানমার জান্তা ও আরাকান আর্মিদের নির্যাতন থেকে রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আজ আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার একটা সমাধান বের করতে পারবো এখান থেকে, বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সালে এবং তারও আগে থেকে সম্পদ এবং সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো নৈতিক দায়িত্ব।

মিয়ানমার সরকার এবং আরকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদশে না প্রবেশ করে এ কথা জানিয়ে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অবদান রাখার সংকল্প ঘোষণা করে, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৭ দফা প্রস্তাব দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং সমাধান সেখানেই।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার পৌঁছান তিনি। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সংলাপে বসবেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। উখিয়ার ইনানীতে ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোববার (২৪ আগস্ট) ‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্যা রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক ৩ দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতর যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেলে বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। এতে যোগ দেন ৪০টি দেশের প্রতিনিধি। ছিলেন জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করা সব অংশীজন। তিন দিনের এ সম্মেলন থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজবেন তারা।

শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বিদেশি অতিথিরা। তিন দিনের সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফান্ড, গণহত্যার বিচার, খাদ্য সহায়তা ও রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ব্যাপারে জোর দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও সম্মেলন থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরবে সরকার।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x