প্যারিসভিত্তিক গণমাধ্যম অধিকার সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) ইসরায়েলের হাতে ২০ জনেরও বেশি বিদেশি সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানায়, গত মাসে গাজামুখী হয়ে যাত্রা করা মানবিক বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে এই সাংবাদিকদের আটক করা হয়।
আরএসএফ জানায়, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বহরের নৌযানগুলো আটকে দিলে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। নৌযানে রাজনীতিক ও কর্মীদের পাশাপাশি ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। জাতিসংঘের হিসেবে, বর্তমানে গাজায় মারাত্মক দুর্ভিক্ষ চলছে।
সংস্থার সংকটকেন্দ্র প্রধান মার্টিন রু বলেন, “সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা এবং তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়া তথ্য জানার ও জানানোর অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। অভূতপূর্ব এক মানবিক অভিযানের খবর কভার করতে থাকা সংবাদকর্মীদের অবৈধভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে স্পেনের এল পাইস, কাতারের আল জাজিরা এবং ইতালির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম আরএআই-এর সংবাদকর্মীরাও রয়েছেন। আরএসএফের দাবি, বুধবার রাত থেকে গ্রেপ্তারের পর এসব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ সাংবাদিকদের খোঁজ পাচ্ছে না।
এদিকে, ইসরায়েল বলেছে, আটক ব্যক্তিদের ইউরোপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের দাবি, কোনো নৌযানই গাজার ওপর আরোপিত সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙতে সক্ষম হয়নি। আরএসএফের হিসাবে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ২১০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।