বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে মা ও ছেলেকে। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাইদুল্যাপুর (বটতলা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— ঐ গ্রামের প্রবাসী ইদ্রীস আলীর স্ত্রী রানি বেগম (৩০) ও ছেলে ইমরান (১৭)। এ ঘটনায় একই বাড়ি থেকে হাসান (১৬) নামে আরও এক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যা করে। পরে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা-পয়সা ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা জড়িত থাকতে পারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের চাচা খলিল সাংবাদিকদের জানান, সকালে এক রঙ মিস্ত্রি কাজের জন্য ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তিনি পাশের বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে সবাই মিলে গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে রানি বেগম ও তার ছেলে ইমরানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাজুড়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখতে পাই, ঘরের ভেতর সবকিছু এলোমেলো। স্বর্ণালঙ্কার, টাকা-পয়সা আর মোটরসাইকেল নেই। মনে হচ্ছে চুরি-ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তাদের হত্যা করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া নিখোঁজ হাসানকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা ও ডাকাতির ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত মা-ছেলেকে দেখতে আশপাশের শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।