বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব সারাদেশের মতো গাজীপুর এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম বৃহত্তম জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রীপুর বাজারে কোরবানির গরুর হাটে তুলনামূলক ক্রেতা সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা।শনিবার (৩১ মে) ঘুর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি অপেক্ষা করে বিক্রেতারা গরু-ছাগল হাটে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রেখেছেন। কিন্তু ক্রেতাদের সাড়া মেলেনি। এতে কোরবানি পশু বিক্রি না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ।
বরমি থেকে শ্রীপুর গরুর হাটে আসা মো: মেরাজ মিয়া বলেন, সকাল ১১ টার দিকে ৫ টি গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বৃষ্টির কারণে হাটে ক্রেতার দেখা পাচ্ছি না।আমাদের মতো অন্য ব্যবসায়ীরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে আসছেন ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, বরমি ও কাপাসিয়া। গতবারের তুলনায় এবার খারাপ যাচ্ছে মাত্র ২টি গরু বিক্রি করতে পারছি। বৃষ্টি না থাকলে ক্রেতাদের উপস্থিত থাকতো। তাছাড়া কিছু কিছু ক্রেতারা মাঝারি ধরণের গরু কিনছেন।
গরুর হাটে আসা ক্রেতা তুফাজ্জল মিয়া, আব্দুল্লাহ , মনির ও মাহফুজুর রহমান বলেন, হাটের অনেক গরু উঠেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাম ছাড়ছে না। তারমধ্যে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।কাদা দিয়ে ভরে গিয়েছে বাজার যার কারণে পুরো হাট ঘুরে দেখতে পাচ্ছি না। কোরবানি জন্য অনেকগুলো গরু দেখেছি। যেহেতু সামনে আরও ১ দিন হাটবার রয়েছে। তাই এত তাড়াতাড়ি কেনার আগ্রহ নেই।
ঐতিহ্যবাহী শ্রীপুর গরুর হাট ইজারাদার আরিফ সরকার বলেন, হাটে বিক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক থাকলেও বৈরী আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ক্রেতাদের উপস্থিত কম । দিনভর বৃষ্টি না থাকলে এই গরুর হাটে উপচে পড়া ভিড় জমে যেতো।