মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫টি স্থান ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল। ফলে ভোগান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক্টর ও পিকআপ ভ্যানে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। বুধবার দুপুরে ফুলগাজীর মুন্সিরহাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফুলগাজী ঘুরে দেখা যায়, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের মুন্সিরহাট এলাকা থেকে ফুলগাজী পর্যন্ত সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে সড়কে যানচলাচল। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। তবে জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তারা ট্রাক্টরে করে যাতায়াত করছেন।

ট্রলিতে ঝুঁকি নিয়ে ফুলগাজী থেকে ফেনীর উদ্দেশে যাচ্ছেন সাহেদা আক্তার। তিনি বলেন, ট্রলি ছাড়া কোনো যানবাহন নেই। চিকিৎসার প্রয়োজনে রওনা দিয়েছি। ঝুঁকি থাকলেও নিরুপায় হয়ে যেতে হচ্ছে।
আব্দুল কাইয়ুম নামে ট্রাক্টর যাত্রী বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে পানি বাড়ছে। ভাঙন স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। প্রয়োজন থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছি।
শহিদুল ইসলাম পিন্টু নামে ট্রাক্টর চালক বলেন, সড়কের অনেক স্থানে পানি থাকায় রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশাসহ যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাড়া সিএনজি অটোরিকশার চেয়ে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছি। বড় গাড়িতে মানুষদের পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কোনোভাবে তারা অন্তত গন্তব্যে যেতে পারছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা রয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পাঠদান ও পরীক্ষা স্থগিত করে সেখানকার ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসন টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। তবে আমরা লক্ষ করেছি অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক্টর, পিকআপে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।