জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে, গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
আজ রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ঝালকাঠিতে এনসিপির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ বলেন, একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের পরও আমরা যেন আবার পুরনো দখলদার, গুম-খুনের রাজনীতিতে ফিরে না যাই। ইদানীং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে, যা জুলাই আন্দোলনের চেতনাবিরোধী। আমরা এই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, ডা. মাহমুদা মিতু, মশিউর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ঝালকাঠি ত্যাগ করার সময় প্রতিরোধের মুখে পড়েন এনসিপি নেতারা। শিক্ষার্থীরা তাদের গাড়িবহর আটকে দিয়ে অভিযোগ করেন, ঝালকাঠির এনসিপি ইউনিটে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা অতীতে দখলদারিত্ব ও দমন-পীড়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ঝালকাঠি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ঝালকাঠির এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করেই আওয়ামী লীগের লোকজনকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কমিটি গঠনের সময় আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির ঝালকাঠি জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কমিটি গঠনের আগে-পরে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি।