সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি বিভ্রান্তিকর দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে—বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচিতে পরিবহন সহায়তা দিয়েছে। তবে এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শনিবার রাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো এই ধরনের পোস্ট সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার একটি সুস্পষ্ট অপচেষ্টা। প্রকৃতপক্ষে, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি বাস ভাড়া নেওয়া হয়। এসব বাসে কখনো কখনো অস্থায়ীভাবে ‘Bangladesh Army’ লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কিছু গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুবিধার্থে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেই লোগো বা স্টিকার রেখে দেয়, যা আইন বহির্ভূত এবং সেনাবাহিনীর কোনো অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়।
সেনাবাহিনীর বক্তব্যে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই অনিয়মকে হাতিয়ার করে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। সেনাবাহিনী এ ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্বের প্রতি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাধারণ জনগণকে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সেনাবাহিনী অনুরোধ করেছে, সত্যতা যাচাই না করে কোনো তথ্য যেন শেয়ার না করা হয়।