মহাসমারোহে, দিনদুপুরে, প্রশাসনের নাকের ডগায় লুটপাট হয়েছিল যেসব পাথর, নানা মহলের সমালোচনার পর তা ফেরানো হচ্ছে ভোলাগঞ্জে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) টানা তৃতীয় দিনের মতো চলে নৌকাবোঝাই পাথর প্রতিস্থাপনের চেষ্টা, যদিও তা ছিল আগের দিনের তুলনায় কিছুটা ঢিমেতালে।
পাথর ফিরতে শুরু করলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অনেক। ভোলাগঞ্জে একপাশে যখন চলে পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ, অন্যপাশে তখন ধু-ধু মরুর দশা। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিন যে হারে পাথর লুটে নেয়া হয়েছিল, ফিরছে তার তুলনায় অতি নগণ্য। তাই দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটনকেন্দ্র শিগগিরই আগের রূপে ফিরবে কি না, তা নিয়ে আছে সন্দেহ-সংশয় আর শঙ্কা।
এদিকে শুক্রবার ছুটির দিনেও বিভিন্ন ক্রাশার মিলে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধার করা হয় সাদাপাথর, এমনকি মাটির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায়ও সন্ধান মিলে পাথরের। সকালে উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত ট্রাক পাথর উদ্ধার করা হয় বলে গণমাধমকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আশিক কবির।
তিনি আরও জানান, সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে প্রায় পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। কালিবাড়ি এলাকা থেকে বালু ও মাটির নিচে চাপা অবস্থায় পাথর পাওয়া গেছে। সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর বালু ও মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া লুটে নেয়া পাথর সরানো ঠেকাতে শুক্রবারও সিলেটের সড়কে তৎপর দেখা যায় সেনা সদস্যদের। চেকপোস্টে পাথরবোঝাই শত শত ট্রাক আটকে চালানো হয় তল্লাশি।