২ আগস্ট ২০২৫ শনিবার
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

‘বিদেশ থেকে ভাড়া করে লোক এনে দেশ চালানো যায় না’

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করে দেবে- এমনটা ভাবার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনেকেই মনে করছেন, কয়েকজন লোক, সংস্কার যারা করছেন, তারা কতগুলো বৈঠক করে, সংস্কার করে জনগণকে এগিয়ে দিলেন, আর সংস্কার হয়ে গেল- এভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। এই সহজ-সরল কথাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে। কিছু লোক, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছে এবং যে বিষয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই। তারা জোর গলায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। অথচ আমাদের সাধারণ মানুষ বুঝেই না যে, আনুপাতিক হারে নির্বাচনটা কী। জনগণ জানে, একজন প্রার্থী থাকবে, একটা মার্কা থাকবে। তারা সেখানে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ এলাকায় একজন নেতা চায়, প্রতিনিধি চায়। তাদের কাজ করার জন্য একজন নেতৃত্ব খুঁজে। সেটা কোনো মতেই এই পদ্ধতিতে সম্ভব হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার রাতারাতি সম্ভব না। কতগুলো বৈঠক করে সংস্কারের বিষয় নিয়ে জনগণকে দিলেন আর সংস্কার হয়ে গেল- সেভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আপনি চাইলেন আর কালকেই পুলিশ ঘুস খাওয়া বন্ধ করে দেবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কাঠামো তৈরি করতে হবে এমনভাবে, যাতে সে ঘুস না খায়।

তিনি বলেন, একইভাবে আমলাতন্ত্র আমাদের উন্নয়নের পথে একটা বড় বাধা। নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসিকে (অদক্ষ আমলাতন্ত্র) এখন পজিটিভ ব্যুরোক্রেসি করতে হলে যা যা করা দরকার সেই সংস্কার করতে হবে। মূল কাজ হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ গোটা জাতি একটা ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে। একটা ভয়াবহ সংকট উপস্থিত হয়েছে। রাজনৈতিক শূন্যতা এবং অর্থনৈতিক বিরূপ একটা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এখন আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের একটা পথ খুঁজছি।

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের যে ক্ষতিটা করে গেছে সেই ক্ষতিটা পূরণ এতো সহজে হবে না। তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠাগুলোকে ধ্বংস করেছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক মজিবুর রহমান হাওলাদার, আবদুল্লাহ হিল মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x