১৭ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

বিমানের আশ্চর্য রহস্যময় ১১এ আসন, কেন বারবার মৃত্যু থেকে ফিরিয়ে দেয় যাত্রীদেরকে?

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

👁 22 views

আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ দেশ থেকে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে বেঁচেছেন মাত্র একজনই। ১১-এ সিটে বসেছিলেন রমেশ বিশ্বাস। এই একই ঘটনা নাকি ঘটেছে ঠিক ২৭ বছর আগে। এক থাই অভিনেতা অভিজ্ঞতা শুনলে গা শিউড়ে উঠবে। অলৌকিক বললেও হয়তো কম, আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সবাই। জীবিত মাত্র একজনই। রমেশ বিশ্বাস কুমার নামে এক ব্যক্তি ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা থেকে একাই বেঁচে ফিরেছেন। বর্তমানে তিনি সিভিল হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন।

ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিমানের বাঁদিকে জরুরি দরজার পাশে ১১-এ সিটে বসেছিলেন। আমদাবাদে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ দেশ থেকে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের এক জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা এই ঘটনা শোনা মাত্রই নিজের অপ্রত্যাশিত ঘটনার কথা শেয়ার করেন। যা শুনে রীতিমত শিউড়ে উঠেছে সবাই।

তিনি জানিয়েছেন, ২৭ বছর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট TG261 দক্ষিণ থাইল্যান্ডে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে পড়ে যায়। ওই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৪৬ জনের মধ্যে ১০১ জন মারা যান। যাদের মধ্যে ২০ বছর বয়সে রুয়ংসাক লইচুসাক মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন।

বর্তমানে রুয়ংসাকের বয়স ৪৭। অদ্ভুত বিষয় হল, রুয়ংসাকও সেই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ১১-এ সিটেই বসেছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাই ভাষায় লেখেন, ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র এক ব্যক্তি। তিনি আমার মতই একই আসন ১১-এ তে বসেছিলেন। রুয়ংসাক আরও জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালের সেই বোর্ডিং পাসটি এখন আর তাঁর কাছে নেই। তবে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে তাঁর সিট নম্বর ও বেঁচে যাওয়ার তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর, অভিনেতা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে দুর্ঘটনার জন্য তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এবং ঘটনার পর থেকে তিনি প্রায় এক দশক কোনও বিমানে চড়েননি। রুয়ংসাক বিমান দুর্ঘটনার পরে জীবনকে ‘দ্বিতীয় জীবন’ হিসাবে পেয়েছেন বলে ব্যাখ্যা করেন। সম্প্রতি হওয়া দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, এই 11-A সিট অলৌকিকভাবে যাত্রীদের বাঁচিয়ে তুলেছে। তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে এক কৌতুহল বা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। আমদাবাদের দুর্ঘটনায় রমেশ একাই বেঁচে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘না, আমি ঝাঁপ মারিনি। বিমান ওড়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল।’

হাড়হিম সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিশ্বাসকুমার জানান, ‘যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন আমার চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়তে শুরু করলাম। চারপাশে বিমানের টুকরো। তখনই কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুকে চোট পেয়েছেন বিশ্বাসকুমার।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x