সব অঙ্ক বদলে গেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার মিঠুন মানহাস। তিনি জম্মু ও কাশ্মির ক্রিকেট এসোসিয়েশনের প্রশাসক হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
বিসিসিআই-এর নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। সেজন্য বেঙ্গল ক্রিকেট এসোসিয়েশনের প্রশাসকের দায়িত্বে ফিরেছিলেন। তার সঙ্গে সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং এবং কিরণ মোরে ছিলেন আলোচনায়।
শনিবার ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে বিসিসিআই-এর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এক সভা ডাকেন। ওই সভায় সবুজ সংকেত পেয়েছেন মানহাস। রোববার তিনি বিসিসিআই সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেন।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সৌরভ গাঙ্গুলি, হরভজন সিংরা ওই সময় দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন। তবে অমিত শাহর সভায় অংশ নিয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। ওই সভায় আইসিসির চেয়ারম্যান ও অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি দেভজিৎ সাইকিয়া সভায় ছিলেন।
রোববার বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন। তবে ক্রিকবাজ জানিয়েছে, মিঠুন মানহাস ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন দাখিল করেননি। যার অর্থ ২৮ সেপ্টেম্বর বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন মানহাস।
৪৬ বছর বয়সী মানহাস জম্মু-কাশ্মির ক্রিকেট এসোসিয়েশনের প্রশাসক হলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন দিল্লির হয়ে। ১৮ বছরের ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তিনি ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়েও তিনি ম্যাচ খেলেছেন। কাজ করেছেন মোহামেডানের সঙ্গে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং পরামর্শকও ছিলেন।
মানহাসের বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রসঙ্গে বোর্ডের সহসভাপতি রাজিব শুকলা বলেছেন, ‘ক্রিকেটার পরিচয় তাকে দায়িত্ব পেতে সহায়তা করছে।’ ২০২২ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপর রজার বিন্নি ওই চেয়ারে বসেন। তার বয়স ৭০ হয়ে যাওয়ায় অবসরে গেছেন। যে কারণে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হয়েছে।