সিলেটের জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ২০-২২টি মামলার আসামি রিয়াজুল ইসলাম ওরফে শুটার রিয়াজ। পুলিশের চেকপোস্টে সিগন্যাল না মেনে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা দুই শিশু-সন্তানকে গাড়িতে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা তাঁকে ধাওয়া করেন। প্রথমে তাঁকে শিশু অপরহরণকারী মনে করছিলেন স্থানীয়রা। আটকের পর তাঁর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি তরিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, রিয়াজ তাঁর দুই সন্তান নিয়ে জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে আলীরগাঁও ইউনিয়নের আলীরগাঁও এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে সিগন্যাল দেয়। রিয়াজ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে দুই শিশুসন্তান রেখে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর পরিচয় জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, একটি বাড়ির সামনে আটকের সময় রিয়াজকে মারধর করা হয়। গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। উত্তেজিত জনতার কবল থেকে তাঁকে রক্ষা করে পুলিশে দেওয়া হয়। প্রথমে তারা পালানোর ঘটনায় অন্য কোনো কাহিনি বলে মনে করছিলেন।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ জানিয়েছে, শুটার রিয়াজের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২০-২২টি মামলার তথ্য তারা পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ থানায় তাঁকে আটকের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। সেখানকার পুলিশ এলে হস্তান্তর করা হবে। শিশু দুটি তাদের জিম্মায় রয়েছে।
শুটার রিয়াজসহ তাঁর চার সহযোগীকে ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল র্যাব-৩ আটক করেছিল। তখন তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন, ১২ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল।