ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। একে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে অভিহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারান এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই ঘৃণ্য কাজের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা এখনো নিরূপণ করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, বেসামরিকদের ওপর এখন পর্যন্ত আমরা যেসব হামলা দেখেছি সেগুলোর তুলনায় এটি অনেক বড়।
কাশ্মীরের ট্যুর গাইড ওয়াহিদ জানান, তিনি গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেখানে কয়েকজন মানুষকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। দেখে মনে হচ্ছিল তারা মারা গেছেন, বলেন তিনি। পরে কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে ঘোড়ায় চাপিয়ে সরিয়ে নেন তিনি। বার্তাসংস্থা পিটিআইকে এক নারী টেলিফোনে বলেছেন, আমার স্বামীর মাথায় গুলি লেগেছে। এছাড়া আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকের কাছে অনুরোধ করে বলেন, ভাই, দয়া করে আমার স্বামীকে বাঁচান।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যেখানে হামলা হয়েছে সেটি একটি বিস্তৃত তৃণভূমি। ওই স্থানটিতে শুধুমাত্র ঘোড়া অথবা পায়ে হেটে যাওয়া যায়। মঙ্গলবার সকালে সেখানে পর্যটকদের একটি দল গিয়েছিল। ওই সময় তাদের ওপর হামলা হয়। এদিকে বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হামলাস্থল ছিল পাহালগামের বৈসারান তৃণভূমিতে। সেখানে একটি রিসোর্টের কাছে হামলার পর অনেকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ভারী অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত অস্ত্রধারীরা পাহাড়ের ওপরের তৃণভূমির গাছপালা আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে। তারা ৪০ জনের একটি পর্যটক দলকে ঘিরে ফেলে। এরপর এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল পাহেলগামের অবস্থান শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে। এই অঞ্চলের একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, এই ‘হত্যাযজ্ঞে’ নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৪। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।