ভারতে পাচারের উদ্দেশে ফেনীতে আনা দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। রোববার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে ফেনীর মহিপাল পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণী হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ আরাফাত (২৫) ও মোসাম্মদ রমিদা (২৬)। তাঁদের আশ্রয় শিবিরে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের সীমান্তবর্তী ফেনীর পরশুরামে রাখা হয় একদিন। তবে পাচার করতে না পারায় আবার আনা হয় ফেনী শহরে। সেখানেই ধরা পড়েন দুই রোহিঙ্গা ও স্থানীয় মানব পাচারকারী।গ্রেপ্তার দালাল মো. আবদুল মান্নান (৩৪) ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কালিনগর এলাকার নতুন বাড়ির শফিকুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় দালাল মান্নানের কাছ থেকে ৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ১৭টি এনআইডি ও বেশ কিছু জন্ম নিবন্ধন সনদ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দালাল আবদুল মান্নানসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন, পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প জালিয়াতি আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় মো. আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানান, কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে তাঁদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার কথা বলে এবং বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্প থেকে ফেনীতে আনেন দালাল মান্নান ও তাঁর সহযোগীরা। পরে ভারতে পাচারের জন্য ভারতীয় সীমান্তবর্তী পরশুরামে রেখে আসা হয়। সেখান থেকে আবার ফেনীতে আনা হয় তাঁদের।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, আবদুল মান্নানকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হবে।