ভারতে বন্ধ হয়ে আছে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক্স হ্যান্ডেল। ভারত থেকে কেউই সংস্থাটির এক্স হ্যান্ডেলে লগইন করতে পারছেন না। রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্টটি ফাঁকা দেখাচ্ছে এবং সেখানে লেখা আছে ‘আইনি দাবির প্রেক্ষিতে’।
তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রয়টার্সের এক্স হ্যান্ডেল বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। আর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটির সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হওয়ার ক্ষেত্রেও ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
রয়টার্সের প্রধান হ্যান্ডেলটি বর্তমানে ‘ভারতের ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য নয়’। প্ল্যাটফর্মে একটি নোটিশ দেখানো হয়েছে যে ‘আইনি দাবির প্রেক্ষিতে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ (০৬ জুলাই, রবিবার) সকালে একজন সরকারি মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন যে এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। তারা অ্যাকাউন্টটি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেননি এবং সমস্যা সমাধানের জন্য তারা এক্স-এর সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো এই পদক্ষেপটি একটি পুরানো অনুরোধের কারণে হতে পারে, যা অনেক দেরিতে কার্যকর করা হলো। হ্যান্ডেলটি শিগগিরিই পুনরুদ্ধার করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, ভারত সরকার ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় রয়টার্সসহ শত শত সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু রয়টার্সের হ্যান্ডেলটি সেই সময় ব্লক করা হয়নি। তবে সে সময় অন্যরা তাদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত রেখেছিল। সরকার ৭ মে আদেশটি জারি করেছিল। এখন মনে হচ্ছে এটি পুরনো সেই অনুরোধের বাস্তবায়ন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এটিকে ‘তাদের পক্ষ থেকে ভুল’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্মটিকে তাদের পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দিতে এবং সেন্সরশিপ তুলে নিতে বলেছে কারণ সেই বিষয়টি এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়।
রয়টার্সের প্রধান দুটি অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট বর্তমানে ভারতে বন্ধ রয়েছে। যেখানে রয়টার্স টেক নিউজ, রয়টার্স ফ্যাক্ট চেক এবং রয়টার্স এশিয়াসহ সংবাদ সংস্থার অন্য হ্যান্ডেলগুলো রয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটি এখনো এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি প্রদান করেনি।
ওদিকে, এক্স-এর মতে, আদালতের আদেশ বা স্থানীয় আইনের মতো আইনি দাবির ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট বা নির্দিষ্ট পোস্টগুলো বন্ধ রাখা হয়।