৮ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার
প্রকাশ : ১ অক্টোবর ২০২৫, ১:১০ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

মধ্যপ্রাচ্যের পথে ঝাঁকে ঝাঁকে মার্কিন যুদ্ধবিমান, কোথায় হামলার প্রস্তুতি!

প্রকাশ : ১ অক্টোবর ২০২৫, ১:১০ এএম

মধ্যপ্রাচ্যে অস্বাভাবিক পরিমাণে যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফ্লাইট রাডারের গতিচিত্রে দেখা গেছে, ইউরোপের মার্কিন ঘাঁটিগুলো থেকে জ্বালানি ট্যাংকার কে সি- ১৩৫ ও কে সি ৪৬ ট্যাংকার গুলো যুদ্ধবিমানগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ করে মধ্যপ্রাচ্যে। এক সঙ্গে এতগুলো জেট পাঠানো হচ্ছে যে, আকাশে জ্বালানি ভরার বিমানগুলো (ট্যাঙ্কার) পুরো পথ সঙ্গ দিচ্ছে না। বরং তারা যুদ্ধবিমানগুলোকে অর্ধেক পথ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে জ্বালানি ভরে ছেড়ে দিচ্ছে। এরপর যুদ্ধবিমানগুলো একা গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।

এদিকে ট্যাঙ্কারগুলো আবার ফিরে গিয়ে নতুন যুদ্ধবিমানের জন্য জ্বালানি ভরে পাঠাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে এ ধরনের সেনা মোতায়েনের পরই আমেরিকা ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে এক ডজন মার্কিন ট্যাংকার বিমান ইতোমধ্যে চলে আসলেও, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে রেডি হয়ে আছে আরও একডজনেরও বেশি।

এদিকে ফ্লাইট রাডারের আরেকটি রেকর্ডে দেখা গেছে, ইরান থেকে একটি ফ্লাইটে করে দেশটির কিছু সরকারি প্রতিনিধি দল বেলারুশে গিয়েছে। এর মূল কারণ এখনো জানা যায় নি। ইরানের পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এখন সংলাপ বন্ধ রয়েছে কারণ ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শর্ত রাজি হয় নি। এদিকে রাশিয়া ও ইরান কয়েকটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তির সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে, যার মূল্য ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দুই দিন আগে তার ট্রুথ স্যোশালে রাশিয়াকে পেপার টাইগার হিসেবে অ্যাখ্যা দেন ট্রাম্প এবং রাশিয়ার জনগণকে যুদ্ধের ক্ষতি নিয়ে সতর্ক করেন যা নজিরবিহীন। কারণ, এর আগে ট্রাম্পকে সবসময় পুতিনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বরং ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ইরানে হামলার বিষয়ে পুতিনের সায় না পাওয়ায় ট্রাম্প পুতিনের ওপর ক্ষেপেছে। এদিকে নজিরবিহীনভাবে ট্রাম্পের ডিফেন্স এডভাইজার সামরিক বাহিনীর সকল জেনারেলদের ভার্জিনিয়াতে ডেকে বৈঠক করেছেন যা নতুন যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়।

এদিকে পরমাণু বিষয়ে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানে হামলার বৈধ অজুহাত খুঁজে পেয়েছে। এবার হামলা করলে হয়তো ইরান থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন ও সকল পরমাণু স্থাপনায় আঘাত করবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x