সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন মমতাজ। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের কি জানতে চাইতেন। এখন আপনি বলেন তো আপনার বাপের নাম কি? স্বামী কয়টা? স্বামীর নাম কি?
এসময় ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান তাকে থামিয়ে দেন। মামলার বিষয়ে বলতে বলেন। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চসিকের সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগর নামে এক হকার নিহতের মামলায় পরদিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম।
তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে বলেন,’মামলার ঘটনার সাথে তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। তিনি এজাহারভূক্ত আসামি।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নাই। শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার জামিনের প্রার্থণা করছি। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন,দেশের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, প্রধানন বিচারপতি, ঢাকা মহানগর পিপি, বাকীগুলো আর নাই বললাম।
একযোগে পালিয়ে যাই। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মমতাজ বেগম গ্রেপ্তারের পর কিছু মানুষের চিত্র দেখেছি। এলাকায় তারা মিষ্টি বিতরণ করেছে। তার দ্বারা মানুষ কিভাবে নির্যাতিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন,সাধারণ রাস্তা থেকে পার্লামেন্টে গিয়ে পৌঁছেছে। পার্লামেন্টের মত পবিত্র জায়গায় গানের জলসা বসাতো।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজন বক্তব্য দিতো।সংসদকে কলুষিত, কলঙ্কিত করেছে। সংসদে যাবে কারা? আইন প্রণেতা, শিক্ষিত, মার্জিত মানুষ। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না তারা সংসদ সদস্য হয়েছে ভোগ চুরি করে, রাতের ভোটে। রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন,সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের নাম জানতে চান। বলেন তো আপনার বাপের নাম কি, স্বামী কয়জন। স্বামীর নাম কি?
এসময় বিচারক তাকে মামলার বিষয়ে বলতে বলেন। পরে ওমর ফারুক বলেন,মানুষের চরিত্রহনন, বিরোধীদের হেয় করে কাজ করে গেছেন। কিভাবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান বুঝি না। আইন সেইভ করলেও জনগণ করছে না। তারা বাইরে বের হতে পারেন না। পুলিশ ধরার আগে মানুষ ধরে তাদের পুলিশে দিচ্ছে। তারা এতো জনবিরোধী কাজ করেছে। এখন জামিন পেলে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটছে। জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থণা করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।